মাথার খুশকির সমস্যা দূর করতে

শীতকালে খুশকির সমস্যা যেন আরও বেড়ে যায়। যে কারও এ সময় খুশকি হতে পারে। বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায় বলে শীতকালে ত্বক বেশি রুক্ষ হয়ে পড়ে। তখন ত্বকের রুক্ষতা আর ছত্রাকের প্রভাবে চুলে খুশকি হয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সামান্য একটু সঠিক পরিচর্যা করলেই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

খুশকি দূর করতে চাইলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ময়লা জমে মাথার ত্বকের লোমকূপ যাতে বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চুল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে খুশকি-প্রতিরোধক শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন তেল হালকা গরম করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে মালিশ করুন। শ্যাম্পু দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে চুল না ধুয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখবেন, চুলে যেন শ্যাম্পুর ফেনা লেগে না থাকে।
তা দূর করতে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিন। ভেজা চুলে আঙুল চালিয়েও কাজটি করতে পারেন। এতে চুল পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সপ্তাহে এক দিন কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। কিন্তু বাইরে বের হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করুন। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ব্যবহার করতে হবে কন্ডিশনার। আর্দ্রতার অভাবে চুল রুক্ষ হলে খুশকি বেড়ে যায়। মেডিকেটেড বা খুশকি-প্রতিরোধক শ্যাম্পু যা-ই কিনুন না কেন, তা আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী কিনতে হবে। তবে সারা বছরই খুশকি থাকলে চিকিৎসকের পরার্মশ নিন। তা না হলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মিশ্র বা তৈলাক্ত চুলে অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মালিশ করতে পারেন। এতে চুল ঝরঝরে হবে। এ ছাড়া খুশকি দূর করতে বিভিন্ন ধরনের চুলের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক বিউটি পারলারে পাওয়া যায়। পারলারে যাওয়ার সময় না থাকলে বাড়িতে বসেই প্যাক বানিয়ে চুলের পরিচর্যা করতে পারবেন।

একটি পাকা কলা ও আধাকাপ টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া শুধু তেল দিয়েও চুলের পরিচর্যা করতে পারেন। দুই থেকে তিন টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল হালকা গরম করে চুলে মালিশ করুন। এরপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে আঁচড়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস। এ জন্য চুল ধুয়ে বড় আকারের এক মগ পানিতে পুরো একটি লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটি করলে খুশকি কমে যাবে। চুলও হবে ঝরঝরে। খুশকির কারণে ব্রিবতকর অবস্থায়ও পড়তে হবে না।