কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের এই যুগে এখন কম্পিউটারের ব্যবহার সর্বত্র। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতেও এখন পিসি’র ব্যবহার নির্দিষ্ট কোনো ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নেই। কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময়েই পিসি’র গতি কিছুটা ধীর হয়ে যায়। এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন পিসি ব্যবহারকারী প্রায় সকলেই। প্রতিদিনে কম্পিউটারে করা কিছু কাজের প্রভাব অনেক সময় এর জন্য দায়ী হতে পারে। অনেক সময় কম্পিউটারে ছোট কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেই এই ধীর গতির সমাধান করা যায়। এই রকম কয়েকটি টিপস জানানো হলো এই
লেখায়।১. স্পাইওয়্যার আর ভাইরাস থেকে সাবধান:
কম্পিউটারের গতিকে কমিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে স্পাইওয়্যার এবং ভাইরাস। ইন্টারনেটসহ যে কোনো ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইসের মাধ্যমে আপনার পিসিতে প্রবেশ করতে পারে স্পাইওয়্যার এবং ভাইরাস। তাই আপনার পিসিকে এসব থেকে মুক্ত রেখে পিসি’র গতি অক্ষুন্ন রাখতে পারেন। আর তার জন্য আপনাকে ভালো লাইসেন্স করা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। বিনামূল্যের অ্যান্টিভাইরাসগুলো অনেকসময়ই নতুন ভাইরাস থেকে পিসিকে রক্ষা করতে সক্ষম হয় না। তাই এদিকটাই নজর দিন।
২. তথ্য প্রবেশ সহজ রাখুন:
কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে যখন নতুন কোন ডেটা প্রবেশ করে, সেটা কম্পিউটারের পরফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। অনেক বেশী এবং ভারি ফাইল পিসিতে থাকলে তা পিসিকে ধীরগতির করে ফেলে। তাই পিসি’র পারফরম্যান্স ভাল রাখতে নিয়মিত ডিফ্র্যাগমেন্ট করা উচিত। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ডিফ্র্যাগমেন্ট রান করালে পিসি’র গতি অনেক ভাল থাকবে। এই কাজ করার জন্য উইন্ডোজের ডিফল্ট ডিফ্র্যাগমেন্ট যেমন ব্যবহার করা যায়, তেমনি রয়েছে কিছু বিশেষায়িত ডিফ্র্যাগমেন্ট সফটওয়্যার। বিনামূল্যেই এসব সফটওয়্যার পাওয়া যায় ইন্টারনেটে।
৩. ডিস্কস্পেস খালি রাখুন:
পিসি’র গতির সমস্যায় আরেকটি প্রভাবক আপনার হার্ডডিস্কের খালি জায়গা। হার্ডডিস্কের বিভিন্ন ড্রাইভে খালি স্থান কম থাকলে তা পিসিকে ধীর করে দেয়। তাই নিয়মিত বিভিন্ন ড্রাইভের ডিস্কস্পেস খালি করা উচিত। অনেক সময় ব্যবহার্য ফাইল-ফোল্ডারগুলো অকাজে পড়ে থাকে। সেগুলো রিমুভ বা ডিলেট করা হয় না। এসব প্রয়োজনীয় ফাইল বা ফোল্ডার নিয়মিত চেক করে পিসি থেকে ডিলিট করে দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পিসিতে থাক ফাইল গুলো গুরুত্ব অনুসারে সাজাতে পারেন। তারপর সবচেয়ে কম গুরুত্বের ফাইলগুলো ডিলিট করলে দেখতে পাবেন পিসি’র গতি অনেকটাই বেড়ে গেছে।
৪. টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে দিন:
কম্পিউটারের গতিকে ধীর করার আরেকটি উপকরণ টেম্পোরারি ইন্টারনেট ফাইল। নিয়মিত এই ফাইলগুলো ডিলেট করে, পরবর্তীতে রি-সাইক্লিং বিন থেকেও রিমুভ করে পিসি’র গতি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়া যায়।