সামাজিক যোগাযোগের সাইট স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ!

সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের সাইট (ফেসবুক, টুইটার) ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে আর এরই রেশ ধরে বেড়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের সাইটের সংখ্যাও এই সাইটের মাধ্যমে গোটা দুনিয়ার সঙ্গে খুব সহজেই বন্ধুত্ব করা যায়কিন্তু আপনি কি জানেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার মন শরীরের ওপর ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলে?
কথা শোনার পর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীরা হয়তো বলবেন, এটা হতেই পারে না। কেউ-বা আবার মেজাজ তিরিক্ষি করে রাগে গজগজ করতে পারেন। তাঁদের জন্য বলছি, মুম্বাইয়ের মনস্তাত্ত্বিক মোহিনী পাল গবেষণা করেই তথ্য জানিয়েছেন। মোহিনী পালের মতে, যেসব কারণে সাইটগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তা হলো-
চাপ বৃদ্ধি: সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে একজন আরেকজনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। ফলে মানুষ অপরিচিতজনদের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে পরিচয় হয় একজনের সঙ্গে আরেকজনের। সে পরিচয় একসময় ভালোবাসায় রূপ নেয়। কিন্তু এই সম্পর্কগুলো ভেঙে গেলে প্রচণ্ড মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়, যা সুস্থ শরীরের জন্য কখনোই কাম্য নয়
রক্ত সঞ্চালন হ্রাস: সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার এক সময় মানুষের নেশা হয়ে যায়। যার ফলে বসে বসে ওয়েবসাইটগুলোতে বেশি সময় ব্যয় করে। আর দীর্ঘক্ষণ বসে থাকায় হ্রাস পায় শরীরের রক্ত সঞ্চালন। শরীরের রক্তসঞ্চালন হ্রাস পেলে উচ্চ রক্তচাপসহ দেখা দিতে পারে অন্যান্য সমস্যা
ঘুমের সমস্যা: ঘুমের সমস্যার জন্যও দায়ী এই সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, টিনএজ থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও ওয়েবসাইটে যোগাযোগের জন্য রাতটাকেই বেছে নেন। রাতে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের পর্দায় তাকিয়ে থাকার কারণে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা কোনো বিষয়ে পূর্ণ মনযোগের সমস্যা দেখা দেয়
শারীরিক স্থূলতা: মোহিনী পালের সঙ্গে চিকিত্সক আগারওয়াল বলেছেন, কম্পিউটারে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে শরীরের বদলে শুধু আঙুলের নড়াচড়া হয়। এতে শরীর অলস হয়ে যায়। নিয়মিত দীর্ঘসময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে বেড়ে যায় শরীরের ওজন, যা একসময় স্থূলতার পর্যায়ে পৌঁছে
-ফাতিমা শর্মী
সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া