আমি এক পরাজিত সৈনিক

এই পোষ্টটি পড়লে আপনার কণ্ঠ নিস্তব্দ হয়ে যাবে।
মাথা নিচু হয়ে যাবে । বেচে থাকার ইচ্ছা অপনার শেষ হয়ে যাবে।এই পোষ্ঠটি পড়ুন এবং একটু ভাবুন তো যদি আমাদের করও জীবনে যদি এমন ঘটনা ঘটত।
জীবন যুদ্ধে আমি এক পরাজিত সৈনিক সকলের ঘৃণার পাত্র সকলের কাছে আজ আমি এক অবাঞ্চিত ব্যক্তি সকলের খেলনার পুতুল সকলের ষড়যন্ত্রে নিষ্পেষিত আমি আজ সমাজের এক দুষ্টগ্রহ সমাজের চক্ষুশুল ব্যক্তি

পিতার স্নেহ , মায়ের মমতা , ভাই-বোনদের অবজ্ঞা , ভাবীদের ঘৃণা , বন্ধুদের ষড়যন্ত্র , প্রেমিকা-বান্ধবীদের প্রতারনা , শুভাকান্খীদের ছলনা , প্রতিবেশীর তিরস্কার , সমাজের লাঞ্চনা , এলাকার হেয়কার , দশের বাহির , দেশের গণনাহীনতায় আজ আমি অসহায়
ভীষন পিপাসার্ত , হৃদয় আমার জর্জরিত , শরীরের তাবৎ গীটগুলো লালাহীন , প্রতিটি শিরা উপশিরায় ব্যর্থতার ছাপ সুস্পষ্ঠ , আত্মগ্লানীতে সমগ্র শরীর আজ বিষাদময় কন্টকে আবৃত

আজ আমাকে দেখলেই পিতার স্নেহ জাগে স্বকরুন ভাবাবেগে মায়ের মমতা নাড়া দেয় তার হৃদয়খনির অবাঞ্চিত স্থান থেকে ভাই-বোনদের অবজ্ঞা তাদের কপালের রেখায় প্রস্ফুটিত হয় ভাবিদের ঘৃনা ভেসে উঠে মুখে রক্তজবার ন্যায় বন্ধুদের ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার লাভ করে আপাদমস্তক প্রেমিকা-বান্ধবীরা প্রতারণা করতে সুযোগ খুঁজে শুভাকান্খীদের ছলনা তীব্রবেগ ধারণ করে প্রতিবেশীরা তিরস্কারে উদ্যত হয় সমাজ দান করে লাঞ্চনা এলাকাবাসী হেয় মনে করে দশজনের বাহিরে আসন পাতা হয় আমার দেশের আদমশুমারীতে গণনার বাইরে রাখে আমায়
আজ আমাকে দেখলেই ভাবীরা শব্দ করে ঘরের কপাট বন্ধ করে বোনেরা অপরিচিত রূপ ধারণ করে ভাগ্নে-ভাগ্নি মামা বলে স্বীকার করতে কষ্টবোধ করে চাচা-চাচী ভিন্ন চোখে জরীপ করে ভাতিজা-ভাতিজী চাচা বলতে সংকোচবোধ করে আত্মীয়-স্বজন পরিচয় গোপন করে মুখ ফিরায় প্রিয়জন মুখের উপর থুথু নিক্ষেপ করে প্রেমিকা প্রেমের প্রতিদান চায় সম্পদের জয়কারে
কিন্তু আমকে কেউ চায় না চায় আমার কাছ থেকে যার যার রুচি মোতাবেক উদ্দেশ্য সাধনের সুযোগ এটাই আমর বিগত জীবনের চাওয়া পাওয়ার খতিয়ান তীক্ষ্ন অথচ ক্ষুদ্র , কম অথচ বিস্তর , পরীক্ষা গ্রহণ করে জীবনের অনেকগুলো বৎসর পেরিয়ে বহমান জীবনের সুদীর্ঘ পথ অতিক্রান্ত করে সকলের কাছ থেকে এতটুকু সম্পদই সঞ্চয় করতে পেরেছি
তবে যদি আমি প্রত্যেক বিষয়ে পাহাড়ের মত অটল , স্রোতস্বিনী নদীর ন্যায় গতিময় হতে পারতাম যদি পারতাম - বজ্রের ন্যায় হুঙ্কার ছাড়তে , হাতির ন্যায় শরীর নিয়ে লড়তে , বাচালের ন্যায় কথা বলতে , রাক্ষসের ন্যায় ভক্ষণ করতে , বানরের ন্যায় যত্রতত্র থাবা মারতে , নির্লজ্জের ন্যায় বেহায়া হতে , অভদ্রের ন্যায় গর্জাতে , ভিখারীর প্রসারিত হাতকে লাথ্থি মেরে গুড়িয়ে দিতে , ভুখাদের কুড়ানো ভাতের থালা দরজা বন্ধ করার ছলে ধাক্কা মেরে ছিটিয়ে ফেলে দিতে , অসহায়দের পাতানো হাতে থুথু দিতে , এতিমদের তাবৎ সম্পদ ভোগ করতে - তবে হয়তো প্রতিষ্ঠা পেতাম সমাজের এক আদরনীয় ব্যক্তি ব্যক্তিত্ব হিসাবে বসার সুযোগ পেতাম সমাজের প্রতিটি স্তরে নাম লেখাতে পারতাম তথাকথিত ভদ্রলোকদের ন্যায় ভদ্রতার কাতারে রাস্ট্রীয় গণনায় নাগরিক হিসাবে পরিচিত হতে পারতাম পারতাম উঁচুতলার মানুষদের বিলাসী জলসায় শামিল হতে হতে পারতাম এলাকার বা দেশবাসীর মাথার মুকুট
কিন্তু না , তা আমি হতে পারিনি মনের অবাঞ্চিত দৃষ্টিকোণ থেকেও আসে সে সবে নিষেধাজ্ঞা অপারগ আমি তাতে তাই আজ তেমন তেমন হওয়া থেকে দূরে আমি সমাজের নীতির কাছে আমার জীবননীতি আজ পরাজিত বর্তমান মানবতাবিধ্বংসী সমাজনীতির কাছে পরাজিত হয়ে আমি আজ সমজ থেকে অনেক দূরে
জীবনের সর্বক্ষেত্রে , সমাজ থেকে , সমাজের লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন আজ আমি আজ আমি হয়েছি এক জীবনযুদ্ধে পরাজিত সৈনিক দূর্বীসহ জীবন নিয়ে অসুস্থ সমাজে বিচরণ আমার হাঁফিয়ে উঠেছি কলুষতায় আচ্ছন্ন সমাজের করিডোরে দূর্বীসহ জীবনের ধারক আমি এই জীবন থেকে মক্তি চাই চাই নির্মল সুস্থ সমাজের একজন সদস্য হতে
লেখা--মুহাম্মদ জাকারিয়া, শাহনগরী